লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের রত্নাই নদীর উপর নির্মিত সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
এতে দুর্নীতির মাধ্যমে ১৩লক্ষ ৯৫হাজার ৩শত ৯৯টাকা ৭পয়সা আত্মসাত করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক লালমনিরহাটের এলজিইডির সাবেক ও বর্তমান ৬জন প্রকৌশলীসহ ৯জনকে আসামী করা হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) বিকেলে লালমনিরহাটের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
মামলার আসামীরা হলেন- লালমনিরহাট এলজিইডির সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুর কাদের ইসলাম, লালমনিরহাট সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হারুন অর রশিদ, বর্তমান উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ এন্তাজুর রহমান, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মান্নাফ, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শফিউল ইসলাম রিফাত, উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রেমানন্দ রায়, লালমনিরহাট এলজিইডির হিসাব রক্ষক মনোরঞ্জন রায়, মেসার্স সুরমা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার কে এম বদরুল আহসান এবং ঠিকাদার মোঃ আয়ুব আলী।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক প্রধান কার্যালয়, ঢাকার এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের নির্দেশে রত্নাই নদীর উপর নির্মিত সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করা হয়। তদন্তে ১৩লাখ ৯৫হাজার ৩শত ৯৯টাকা আত্মসাতের তথ্য উঠে আসে।
উল্লেখ্য যে, অভিযানকালে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী টিম দ্বারা পরিমাপ গ্রহণ করা হয়। পরিমাপকালে দরপত্রের আইটেম নং-৩৬ (৩.১১.০৮.০৯) স্লোব প্রোটেকশন কাজের ৫৭.৬০% ভাগ কাজ পাওয়া যায়, অর্থাৎ স্লোব প্রোটেকশন কাজের (১০০-৫৭.৬০)=৪২.৪% কাজ কম করে ৫,৮৮,৯৫৭.৬২ টাকা আত্মসাতে প্রমান পাওয়া যায়। নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক আইটেম নং-৫২ (৩.০৬.৫.২) এর পূর্ব পার্শ্বে ৮৪.৩০৯% এবং পশ্চিম পার্শ্বে ১০২.৯২% ভাগ উভয় পার্শ্বে গড়ে ৯৩.৬১৪৫% কাজ পাওয়া যায়। অর্থাৎ সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজের (১০০-৯৩.৬১৪৫)=৬.৩৮৫৫% কাজ কম করে ১,১৬,২০০.৪৫ টাকা আত্মসাতের প্রমান পাওয়া যায়। এছাড়াও কাজ সমাপ্তির ১বছর পর জামানতের টাকা উত্তোলনের বিধান থাকলেও উক্ত কাজ ৯/৪/২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হয়েছে মর্মে সর্বশেষ বিল প্রদান করা হয়। সর্বশেষ বিল দাখিলের মাত্র ৩৬দিন পরেই ১৫/৫/২৩খ্রি. তারিখে জামানতের ৬,৯০,২৪১/-টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করা হয়েছে। এলজিইডি লালমনিরহাট এর কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে পরস্পর যোগসাজশে কাজ না করেই এবং নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই জামানতের টাকা উত্তোলনপূর্বক ১৩,৯৫,৩৯৯.০৭ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।